14/10/2024 : Monday
Trip No. - 2এখন আমার স্কুলের ছুটি। আমার জঙ্গল আর পাহাড় খুব ভালোলাগে সেই হিসাবে ভাবছিলাম জয়পুর জঙ্গল যাবো। ঠিক এই সময় জানতে পারলাম আমার বাড়ি থেকে মাত্র ৩৩ কিমি দূরেই রয়েছে ওড়গ্রাম জঙ্গল। এর ভিতরে ব্রিটিশ এয়ারফিল্ড ও আছে। তাই ভাবলাম এখানেই যাওয়া হোক। গতকাল ই Google map এবং কিছু Blogs থেকে জায়গাটি সম্পর্কে study করে নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেললাম।
সকাল ৭ টায় সামান্য tiffin করে বেরিয়ে পড়লাম। বর্ধমান থেকে নবাবহাট হয়ে গুসকরা রোড ধরে পৌঁছে গেলাম ওড়গ্রাম। ওড়গ্রাম বাস স্টপ থেকে ডান দিকের রাস্তা ধরে কিছুটা যাওয়ার পর বাম দিকে ওড়গ্রাম জঙ্গল। জঙ্গলে যখন ঢুকলাম সকালের রোদ গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। জঙ্গলটা একটু ছোট কিন্তু বেশ ভালোই লাগলো।
জঙ্গলে ঢোকার আগে বামদিকে আছে Silverline Resort, যদিও সেখানে যাওয়া হয় নি। জঙ্গলের মাঝে মোরাম রাস্তা ধরে সোজা যাওয়ার পর সামনেই British Airfield-এর Runway. আগেই বলেছি এই জঙ্গলের মাঝেই রয়েছে Abandoned British Airfield.
যে রাস্তা থেকে বামদিকে জঙ্গলে ঢুকেছিলাম জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঐ রাস্তা ধরে আরো কিছুটা এগিয়ে বামদিকে পড়বে British Airfield এবং Aerodrome Boundaries. জঙ্গল থেকেও airfield-এ প্রবেশ করা যায়। Google Map দেখে খুব সহজেই পৌঁছে গেছিলাম।
গুসকরা এয়ারফিল্ড বা ওড়গ্রাম এয়ারফিল্ড ছিল ১৯৪৩ - ১৯৪৫ এর মধ্যে ব্যবহৃত দশম Air-force base. এটি মূলত Burma-campaign -এর জন্য ব্যবহৃত হত। স্থানীয় লোকেরাই এটা বানিয়েছিল মাত্র ৪০ টাকা মাসিক মজুরিতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন বিমান বাহিনীর জন্য নির্মিত এই airfieldটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এটি প্রায় ১৬ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
বর্তমানে বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু লাল ইটের প্রাচীর অবশিষ্ট রয়েছে। প্রাচীরের চারপাশে বড়োবড়ো গাছ বের হয়েছে।
সিমেন্ট , বালি ও পাথর দিয়ে ঢালাই করা Airfield-এর মেঝে এখনও অক্ষত রয়েছে।
সেই মেঝেতে স্থানে স্থানে কিছু অনেক মোটা মোটা লোহার তৈরী আংটা দেখতে পেলাম।

সংরক্ষণের ও পরিচর্যার অভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক সম্পদ। কিন্তু যদি ভালোভাবে পরিচর্যা করা যেত, তাহলে জায়গা টা আরো ভালো লাগত।
যাইহোক, ঘোরা শেষ। ওড়গ্রাম থেকে বের হয়ে চলে এলাম আমার favourite hotel - "হোটেল খোয়াই"। এখানে এর আগে অনেকবার এসেছি।
প্রথমে নিলাম কালোজিরে দিয়ে লুচি এবং ছোলার ডাল। তারপর special চা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম এবং দুপুরের অনেক আগেই বাড়ি চলে এলাম।
খুবই ছোট একটি ট্রিপ ছিল কিন্তু ভালোই enjoy হল। এটা একটা Historical important place. খুব শীঘ্রই ফিরছি বোলপুর special trip নিয়ে। Keep visiting 👍.