Trip to Beliatiore, Bankura.

24/11/2024 : Sunday

গত শুক্রবার আমার স্কুলের একজন সহকর্মী এবং আমার বিশেষ বন্ধু Mr. Sudip Pal আমাকে ফোন করে বেলিয়াতোড় ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেন এবং ঠিক হলো এই রবিবার অর্থাৎ আজ যাওয়া হবে। ওনার সাথে এর আগের বছরও একবার বেলিয়াতোড় গেছিলাম। অন্যান্য Trip গুলোর মতো এবার আমি একা যাচ্ছিনা। এই Trip-এ আমি এবং Mr. Pal আমরা দুজন যাচ্ছি। 

আজ ভোর ৫ টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। বর্ধমান থেকে কৃষক সেতু হয়ে অর্থাৎ দামোদর নদী পেরিয়ে বাঁকুড়া মোড় থেকে ডান দিকে বাঁকুড়ার রাস্তা ধরলাম। বাঁকুড়া মোড় থেকে ৬ -৭ কিমি যাওয়ার পর মাঝ রাস্তায় Mr. Pal আমার সাথে যোগ দিলেন। বাঁকুড়া মোড় থেকে বেলিয়াতোড় ৭০ কিমি সোজা রাস্তা। কোনো turn নিতে হবে না। 

কচুরি ঘুগনি খেয়ে এবার এসেছি বেলিয়াতোড় জঙ্গল ঘুরতে। জঙ্গলের ভিতরে গাড়ি চালিয়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগছিল, বেশ গা ছমছমে পরিবেশ ভিতরে। অনেক শেয়াল দেখতে পেলাম চারিদিকে ঘুরে বেড়াতে। জঙ্গলের ভিতরে রাস্তার দুইপাশে হাতির জন্য electric fencing করা আছে দেখলাম। মাঝে একটা ছোট জলাশয় দেখলাম, সম্ভবত প্রাণীদের জল খাওয়ার জন্য করা আছে।  এক জায়গায় দেখলাম fencing কিছুটা ছেঁড়া আছে, সম্ভবত কিছু দিনের মধ্যেই এইদিকে হাতি এসেছিল। 

জঙ্গলের ভিতরে ঘোরাঘুরি করার পর জঙ্গল থেকে যখন বেরোচ্ছি দেখলাম ঘড়িতে ১১:১৫ বেজে গেছে। জঙ্গলের কিছু ছবি এবং ভিডিও নিচে দিলাম তোমরা দেখে নাও। 

জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আবার ও চলে এসেছি মাম্পি সুইটস দোকানে। এখন খাব বেলিয়াতোড়ের বিখ্যাত ম্যাচা সন্দেশ। এই মাম্পি সুইটস দোকানের ম্যাচা-র quality বেশ ভালো। দুই ধরনের ম্যাচা হয় - with sugar layer and without sugar. দুই ধরণের ম্যাচাই দুজনে খেলাম। তারপর খেলাম ওই দোকানেরই special কালাকাঁদ। ম্যাচা এবং কালাকাঁদ সবই খুব ভালো লাগল। কালাকাঁদ তা একটু special, এটা বেশি ভালো লাগল। বাড়ির জন্যও দুই ধরণের ম্যাচা এবং কালাকাঁদ নিলাম। 

Share the Story

If you like my story, share this post with your friends...