30/11/2024 : Saturday
Trip No.: - 7বোলপুর trip-এর পর আজ আবার এক special trip নিয়ে চলে এসেছি। আজ চলেছি বিষ্ণুপুর। গত ২ দিন আগেই বিষ্ণুপুর সম্পর্কে detail study করা শেষ হয়েছে। আমি চাইছিলাম এমন এক দিন যেদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, রোদ থাকবে না এবং খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে যাতে crowd কম হয়। আমি weather app থেকে আজকের দিন টাই উপযুক্ত বলে মনে করেছিলাম। আজ সমস্ত রকম preparation নিয়ে সকাল ৭ টার কিছু আগেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। বিষ্ণুপুরে কোন কোন জায়গায় ঘুরব পর পর মোবাইলের notepad app-এ note করে নিয়েছিলাম।
বিষ্ণুপুর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি শহর। এখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই মল্ল শাসকদের নির্মিত টেরাকোটা মন্দির। ১৯৯৭ সালে বিষ্ণুপুরের মন্দির, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান করে নেয়। মল্লভূম হল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর (আদি নাম বন বিষ্ণুপুর) শহরের মল্ল রাজবংশ কর্তৃক শাসিত প্রাচীন একটি রাজ্য। বিষ্ণুপুর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে মল্লভূম বলা হত। বিষ্ণুপুরের রাজাদের বলা হত মল্ল রাজা।
বর্ধমান থেকে কৃষক সেতু (দামোদর নদী ) পার করে বাঁকুড়া মোড় থেকে ডান দিকে বাঁকুড়ার রাস্তা ধরলাম। কাঁকরডাঙ্গা পর্যন্ত আসার পর বামদিকের পাত্রসায়র রোড ধরলাম। এরপর শুরু হল ঝমঝম করে বৃষ্টি। কিছুদূর গিয়ে দেখলাম ভিজে যাচ্ছি, কাছেই ছিল Indian Oil-এর petrol pump. সেখানেই কিছুক্ষন আশ্রয় নিলাম। আমি চা করে নিয়ে গিয়েছিলাম। Green Tea এবং সাথে দুটি বিস্কুট খেয়ে নিলাম। তারপর দেখলাম জল একটু কমল, কিন্তু পুরোপুরি ছাড়ে নি, ভাবলাম সময় নষ্ট করে লাভ নেই, বেরিয়ে পড়লাম। এরপর দ্বারকেশ্বর নদী, বিড়াই নদী পার করে উপস্থিত হলাম বিষ্ণুপুরের ভগৎ সিং মোড় চৌমাথায়। একটু ভিজে গেছি কিন্তু মেঘলা weather-এ বেড়িয়েছি যখন এটুকু মেনে নিতেই হবে। এখানে দাঁড়িয়ে সামান্য কেক-বিস্কুট-জল খেয়ে নিলাম। সেখান থেকে পৌঁছে গেলাম Gateway Of Bishnupur.

এখন ঘড়িতে সময় সকাল ৯টা। Google Map দেখে খুব সহজেই চলে এলাম। কোনো অসুবিধা হয় নি। Gateway of Bishnupur থেকে বাকি জায়গা গুলিও Google Map দেখেই ঘুরে ঘুরে দেখব।
১. মদনমোহন মন্দির
Google Map দেখে প্রথমেই চলে এলাম এখানে। মন্দিরের কিছু আগে একটি বাজার পড়ল (শাঁখারী বাজার)। ওই জায়গায় রাস্তা খুবই সংকীর্ণ এবং বাজারে প্রচুর ভিড় ছিল। ১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে মহারাজ দুর্জন সিংহ এই মদনমোহন মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দিরগুলির মধ্যে এটি অন্যতম যার গায়ে রয়েছে অপূর্ব টেরাকোটার কাজ, কোথাও কৃষ্ণলীলা, কোথাও যুদ্ধের দৃশ্য, কোথাও বা শিকারের দৃশ্য।
২. পাথরের রথ (Stone Chariot)
মদনমোহন মন্দির দেখার পর এলাম পাথরের রথ দেখতে। ল্যাটেরাইট পাথরের তৈরী এই রথের চাকা পাথরেরই তৈরী। এই রথ টানা কোনদিনই হতনা। কেবল একটা তৈরী করে রাখা আছে যা প্রমাণ দেয় এখানে রথ চলত বা রথ উৎসব ষাড়ম্বরে পালন করা হত। এখনো রথের দিন এই পাথরের রথটাকে ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে।

৩. Bishnupur Fort / Gateway of Bishnupur / গড়দরজা
পাথরের রথ দেখার পর এলাম বিষ্ণুপুর ফোর্ট দেখতে। এটিকে শুধুপাথরের দরজা বললে ভুল হবে এটি ছিল রাজদরবারের দুর্গ। এই তোরণের মধ্যে দিয়ে যেমন পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনি এটি সৈন্য সুরক্ষার উপযোগী করেও গড়ে তোলা হয়েছে। মল্লরাজ বীরসিংহের আমলে এই ফোর্টের সামনে আর একটি ছোট পাথরের দরজা তৈরী হয়েছিল যাকে বলা হয় গড়দরজা।
৪. রাধালালজীউ মন্দির
১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দে মল্লরাজ বীরসিংহদেব চুন সুরকী প্রলেপযুক্ত এই ল্যাটেরাইট পাথরের এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে আমি চলে এসেছি বিষ্ণুপুর ফোর্ট থেকে। মন্দিরের সামনে রয়েছে সুদূর বিস্তৃত বাগান।
কথিত আছে রাধালালজীউ -এর ভোগ নিবেদনের সাথে তামাক সাজিয়ে দেওয়া হত এবং সেই মুহূর্তে মন্দির চত্ত্বর মিস্ট গন্ধে ভরে যেত, এখনো অন্নকূটের সময় তামাক সাজিয়ে দেওয়া হয়।
৫. মা মৃন্ময়ী মন্দির
রাধালালজীউ মন্দির থেকে বেরিয়ে রাস্তার উল্টোদিকেই পড়বে মা মৃন্ময়ী দেবীর মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গনে রয়েছে একটি প্রকান্ড বটগাছ। তার পাশেই রয়েছে বিষ্ণুপুরের শেষ রাজা কালীপদ সিংহঠাকুরের একটি প্রতিকৃতি।
৬. রাধাশ্যাম মন্দির
মা মৃন্ময়ী দেবীর মন্দির থেকে বেরিয়ে রাস্তার উল্টোদিকে রাধাশ্যাম মন্দিরে প্রবেশ করলাম। মল্লরাজ চৈতন্য সিংহ এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৫৮ সালে। এখানে কৃষ্ণমূর্তি অন্যান্য মূর্তির তুলনায় বৃহদাকার। এই বিগ্রহের সাথে বিষ্ণুপুরের অন্যান্য মন্দির থেকে আনা বেশ কয়েকটি মূর্তির নিত্য পূজা করা হয়।
৭. জোড়বাংলা মন্দির
রাধাশ্যাম মন্দির থেকে বেরিয়ে পাশের রাস্তা ধরে চলে গেলাম জোড়বাংলা মন্দির। এখানে ২৫ টাকা টিকিট কাটতে হলো। বিষ্ণুপুরে এই জোড়বাংলা মন্দির এবং পঞ্চরত্ন শ্যামরাই মন্দির এবং রাসমঞ্চ এই তিনটি জায়গায় টিকিট লাগে এবং যে কোনো একটি জায়গা থেকে একবারই টিকিট কাটতে হয় এবং ওই একটি টিকিটে সব জায়গাই ঘোরা যায়। টিকিট অনলাইন - এও কাটা যাবে। ওখানে QR code দেওয়া আছে।
১৬৫৫ সালে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ বিখ্যাত এই টেরাকোটা মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি দুটি বাংলা চালের উপর একটি শিখর রয়েছে - তাই এই নাম। মন্দির গাত্রে পোড়ামাটির কাজগুলিতে যেমন রামায়ণ-মহাভারত-কৃষ্ণলীলা রয়েছে ঠিক তেমনই যুদ্ধ - শিকার দৃশ্যও রয়েছে।
বিষ্ণুপুর অর্ধেক ঘোরা হল। ঘড়িতে এখন সময় ১১ টা। খিদেও পেয়েছে অল্প। তাই জোড় বাংলা মন্দিরের বাইরে একটি খাবারের stall থেকে ডিম-পাউরুটি টোস্ট এবং চা খেলাম।
৮. পঞ্চরত্ন শ্যামরাই মন্দির
সামান্য টিফিন করার পর সামান্য এগিয়ে গিয়ে ডানদিকের একটি রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। এসে পৌঁছালাম টেরাকোটার কারুকার্যে অপূর্ব সুশোভিত এই মন্দিরটিতে, যা ১৬৪৩ সালে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন। আগের টিকিট দেখিয়ে এখানে প্রবেশ করলাম। এই মন্দিরের মাথায় পাঁচটি বিশিষ্ট চুড়া রয়েছে। মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে রামায়ণ, মহাভারত ও কৃষ্ণলীলার বিভিন্ন দৃশ্য।
শ্যামরাই মন্দির থেকে বেরোনোর সময় রাস্তার মোড়ে এই স্থাপত্যটি দেখতে পেলাম যার নাম - গুমঘর।
এটিকে কেউ বলেন হত্যাকূপ, কেউ বলেন রাজাদের শস্যাগার আবার কারো মতে এটি বিশুদ্ধ জলের আধার।
৯. রাসমঞ্চ
অবশেষে আমি পৌঁছে গেলাম বিষ্ণুপুরের সেই বিখ্যাত স্থাপত্য - রাসমঞ্চে। আগের জায়গা গুলি বেশ ফাঁকাফাঁকা থাকলেও এখানে দেখলাম অনেক পর্যটক এসেছেন। মহারাজা বীরহাম্বী আনুমানিক ১৬০০ সালে এই পিরামিডাকৃতি সৌধটি স্থাপন করেন। এখানে তখন বিশাল রাসোৎসব পালন করা হত।
১০. দলমাদল কামান (Dalmadal Cannon)
রাসমঞ্চ থেকে বেরিয়ে কলেজ রোডের উপর টুরিস্ট লজ এর পাশ দিয়ে দক্ষিণ দিকে কিছুটা গিয়ে ছিন্নমস্তা মন্দিরের আগেই ডানদিকে দেখতে পেলাম প্রায় সাড়ে বারো ফুট লম্বা একটি কামান যা নাকি ৬৩ টি লোহার আংটা পেটাই করে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এই কামানটি আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে তৈরী করা হয়েছিল এবং ১৭৪২ সালে যখন মারাঠা সর্দার ভাস্কর পন্ডিত বাংলা লুঠ করার সময় বিষ্ণুপুরে হানা দিয়েছিলেন তখন এই কামান ব্যবহার করা হয়েছিল।
১১. নন্দলাল মন্দির
কামান দেখার পর ছিন্নমস্তা মন্দিরের পূর্বদিকের রাস্তা ধরে সোজা এগিয়ে গিয়ে বাম দিকে দেখতে পেলাম নন্দলাল মন্দির। ল্যাটেরাইট পাথরের এক শিখর বিশিষ্ট এই মন্দিরটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মাণ করা হয়েছিল।
১২. রাধাগোবিন্দ মন্দির
নন্দলাল মন্দির দেখার পর লালগড় যাবার রাস্তা ধরে আরো এগিয়ে যেতে ডানদিকে দেখতে পেলাম ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত রাধাগোবিন্দ মন্দির যা ১৭২৯ সালে মহারাজ গোপাল সিংহের পুত্র সিংহ কৃষ্ণ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের দক্ষিণে একটি পোড়ামাটির রথ অবস্থিত।
১৩. রাধামাধব মন্দির ও কালাচাঁদ মন্দির
রাধাগোবিন্দ মন্দির দেখার পর সামনে Archaeological Survey Of India অফিস ঢোকার মুখে প্রথমে বামদিকে দেখতে পেলাম রাধামাধব মন্দির এবং তার পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে শেষ প্রান্তে দেখতে পেলাম কালাচাঁদ মন্দির।
রাধামাধব মন্দিরটি ১৭৩৭ সালে গোপাল সিংহের পুত্রবধূ চূড়ামণি দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। কালাচাঁদ মন্দিরটি ১৬৫৬ সালে মহারাজা রঘুনাথ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৪. জোড়মন্দির এবং পোড়ামাটির হাট
কালাচাঁদ মন্দির দেখার পর Google Map দেখে পৌঁছে গেলাম আজকের শেষ গন্তব্য জোড়মন্দির দেখতে। তিনটি ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দিরকে নিয়ে এই জোড়মন্দির শ্রেণী অবস্থিত। এই তিনটি মন্দিরই মল্লরাজ গোপাল সিংহের দ্বারা ১৭২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দক্ষিণের মন্দিরটি একটু আয়তনে বড়।
জোড়মন্দিরের সামনের মাঠে প্রতিদিন পোড়ামাটির হাট বসে যেখানে বিভিন্ন পোড়ামাটির জিনিস, পোশাক ইত্যাদি বিক্রি হয়। জোড়মন্দির দেখার পর হাটে গেলাম। আমি পোড়ামাটির জলের বোতল এবং পোড়ামাটির অনেকগুলি কাপ ও ডিস্ এবং একটি কফি মগ কিনলাম। আমার স্কুলের সকল সহকর্মীদের জন্য একটি করে পোড়ামাটির কাপ কিনলাম।
এরপর দেখলাম আবার হালকা বৃষ্টি আরম্ভ হল। এখন ঘড়িতে বাজে দুপুর ১:৩০। এবার lunch করতে হবে। আজ lunch করব Bishnupur Cafe -তে। Google map দেখে পৌঁছে গেলাম Bishnupur cafe তে। বৃষ্টি আস্তে আস্তে বাড়ছে। তাড়াতাড়ি Scooty টা park করে ভিতরে ঢুকলাম। তারপরেই শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি। ঠিক সময়ে ঘোরা complete করলাম নাহলে সমস্যা হত।
যাইহোক order করলাম Chicken Thali. খাবারের quality খুবই ভালো এবং price খুবই affordable. ভিতরের Ambience ও premium.
খেয়ে কিছুক্ষন বসলাম। বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমল। আমিও bill মিটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে যে রাস্তা দিয়ে এসেছি ওই রাস্তা দিয়ে ফিরব না। বিষ্ণুপুর দিয়ে জয়পুর - বেঙ্গাই - একলক্ষী হয়ে বর্ধমান পৌঁছাব।
জয়পুর জঙ্গল এর মাঝের রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছি বৃষ্টির শেষের প্রকৃতির যে অপরূপ শোভা দেখলাম তা তোমরা ওই সময় ওই জায়গায় না থাকলে কখনোই বুঝতে পারবে না, এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। রাস্তায় তখন ও জল এবং গাছ থেকে তখন ও জল ঝরছে। জঙ্গলের রাস্তায় এক জায়গায় একটু দাঁড়ালাম। ফ্লাস্কে তখনও একটু চা ছিল, একটা কাপে চা ঢেলে চা খেতে খেতে গাড়িতে বসে প্রকৃতির অপরূপ শোভা উপভোগ করলাম। জয়পুর জঙ্গলের রাস্তার একটি ভিডিও নিচে দিলাম, দেখে নিও।
এরপর বেঙাই এর অনেক আগে প্রকৃতির অপর এক শোভা দেখতে পেলাম। বৃষ্টি শেষে রাস্তায় এমনিতেই বেশি লোকজন বা গাড়ি নেই। রাস্তার দুধারে সুদূর বিস্তৃত ফাঁকা জমি। আকাশে তখনও কালো মেঘ, দেখলাম দুপাশের জমির উপর জমাট বাঁধা সাদা কুয়াশার আস্তরণ। প্রকৃতির ওই নির্জন মুহূর্ত -এর মোহময়ী রূপ উপভোগ করতে করতে কখন যে বেঙ্গাই চলে এলাম বুঝতেই পারি নি। এরপর বামদিকে turn নিয়ে একলক্ষী হয়ে বর্ধমান চলে এলাম। সন্ধ্যার কিছু আগেই বাড়ি পৌঁছে গেলাম।
একটু ভিজতে হলো সারাদিন কিন্তু যে পরিমান enjoy হল তারকাছে এটুকু ভেজা কিছুই না। প্রতিটা মন্দিরের বাইরে parking-এর প্রচুর জায়গা এবং obviously free parking.
আজকের tour তো নিঃসন্দেহে খুবই ভালো হলো। আমি এখন পোড়ামাটির কাপে চা খাব। আর পরবর্তী trip নিয়ে ভাবব। তোমরা আমার website-এ বাকি tour-এর গল্প গুলি পরে নাও। আবার ফিরছি খুব তাড়াতাড়ি নতুন tour-এর গল্প নিয়ে।