Trip to Piardoba Airfield through Joypur Forest and Bishnupur Archeological Museum

Visited abandoned Piardoba Airfield (Abandoned British Aerodrome) through Joypur Forest and Bishnupur Archeological Museum and Lalbandh.

23 October 2025 by

Classic Sarathi

October, 2025

Trip No.: - 33

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ব্রিটিশ বিমানঘাঁটি তৈরী হয়েছিল যেগুলি বর্তমানে পরিত্যক্ত। এর আগের বছর ঠিক এই সময়ে গিয়েছিলাম গুসকরা ব্রিটিশ বিমানঘাঁটি দেখতে, আমার ২ নং গল্পে যা তোমরা অনেকেই পড়েছো।

গত ১৭ ই অক্টোবর ঠিক এরকমই আর একটি পরিত্যক্ত ব্রিটিশ বিমানঘাঁটি দেখতে গিয়েছিলাম যার নাম - পিয়ারডোবা এয়ারফিল্ড বা বিমানঘাঁটি। আজ সেই দিনের ভ্রমণের গল্প তোমাদের বলব।

গত ১৭ই অক্টোবর সকাল ৬টার কিছু আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। বর্ধমান থেকে কৃষক সেতু হয়ে উচালন - একলক্ষী - বেঙ্গাই হয়ে সকাল ৮ টার কিছু পরেই পৌঁছে গিয়েছিলাম বাঁকুড়া জেলার জয়পুর। উচালনের পর থেকে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ আর সকালে লরির খুব জ্যাম ছিল।

জয়পুর জঙ্গলের রাস্তা যেখান থেকে শুরু হল সেখানেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফ্লাস্কে করে নিয়ে যাওয়া চা এবং বিস্কুট খেয়ে শরীরকে একটু সতেজ করে আবার এগোতে শুরু করি। জয়পুরের এই রাস্তা টি (SH 2) যেখানে রাস্তার দুপাশে গভীর জঙ্গল আমার খুব প্রিয় রাস্তা। কিছুদূর যাওয়ার পর মুকুটমণিপুর ক্যানেল যখন দেখতে পেলাম তারপর সেই সেই ক্যানেলের পাশের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চললাম গন্তব্যের দিকে। এই রাস্তার একটি ভিডিও নিচে দিলাম তোমরা দেখে নিতে পারো।

SH2 থেকে বাঁদিকে মুকুটমণিপুর ক্যানেলের পাশ দিয়ে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ট্রেন লাইন চলে গেছে পাশেই রয়েছে পরিত্যক্ত বাসুদেবপুর ওয়াচটাওয়ার।

আরও কিছুদূর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পৌঁছালাম সেই পরিত্যক্ত পিয়ারডোবা বিমানঘাঁটিতে। এই বিমানঘাঁটি সম্পর্কে কিছু কথা এখানে বলে দিই।

পিয়ারডোবা ব্রিটিশ এয়ারফিল্ড, যা বিষ্ণুপুর অ্যারোড্রোম নামেও পরিচিত, বিষ্ণুপুরের কাছে জয়পুর জঙ্গলে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি যা বিষ্ণুপুর থেকে প্রায় ১০কিমি দূরে অবস্থিত।

১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ কলোনিয়াল সরকারের কাছে হস্তান্তরের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বিমান বাহিনী(USAAF) এই এয়ারফিল্ডকে B-29 বোমারু বিমানের জন্য ব্যবহার করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতে আমেরিকানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চারটি B-29 ঘাঁটির মধ্যে এই বিমানঘাঁটিটি একটি ছিল।

১৯৪৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কলোনিয়াল সরকারের কাছে হস্তান্তরিত হওয়ার পর পিয়ারডোবা বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে বিমানঘাঁটিটি পরিত্যক্ত এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যদিও রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ের কিছু অংশ এখনও রয়ে গেছে। এই জায়গাটি এখনও ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-এর মালিকানাধীন।

পরিত্যক্ত কংক্রিটের রানওয়ের মাঝে নানা জায়গায় গাছপালা গজিয়ে উঠেছে। রানওয়ের মধ্যে একটু ঘোরাঘুরি করে ঠিক যে রাস্তা দিয়ে এসেছিলাম ওই রাস্তা দিয়েই বেরিয়ে এগিয়ে চললাম বনলতা রিসর্ট রেস্টুরেন্টের উদ্যেশ্যে breakfast-এর জন্য। এই বনলতা রিসর্ট জয়পুরেই।

বনলতা তে পুরি, মটর-পনির, ফ্রুট-স্যালাড এবং চা সহযোগে breakfast সেরে এরপর গেলাম বিষ্ণুপুর। এর আগে ৭ নং গল্পে তোমরা পড়েছো আমি বিষ্ণুপুর গিয়েছিলাম গত বছর ৩০শে নভেম্বর। তখন সেখানে বিভিন্ন টেরাকোটা মন্দির দেখেছিলাম এবং সেগুলোর গল্প তোমরা সকলেই পড়েছো। সেই ভ্রমণে কিছু জায়গা বাদ ছিল যেমন বিষ্ণুপুর পুরাকৃতি ভবন এবং লালবাঁধ। এই ট্রিপে গিয়ে সেগুলি ঘুরে দেখলাম।

এবার বিষ্ণুপুর পৌঁছে প্রথমেই গেলাম বিষ্ণুপুর আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন। তখন ঘড়িতে বাজে সকাল ১১টা। সেইমাত্র সংগ্রহশালা খোলা হল। দশটাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। এই সংগ্রহশালার ইতিহাস এবং ভিতরে কি কি আছে তাহলে বলি।

Bishnupur Acharya Jogesh Chandra Purakriti Bhaban

বিষ্ণুপুর আচার্য্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন এই জেলার একমাত্র সরকারি শিল্প ও প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহশালা। ১৯৫১ সালে স্থানীয় উদ্যমী তরুণদের একটি দল এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠা করে এবং এর বৈধতা পাওয়ার জন্য কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের অনুমোদন চাওয়া হয়। এই পুরাকৃতি ভবন প্রতিষ্ঠার অনেক আগে প্রখ্যাত পণ্ডিত আচার্য্য যোগেশচন্দ্র রায় বাঁকুড়া জেলায় একটি সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি সফল হননি। ১৯৫৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ দ্বারা বিখ্যাত পণ্ডিত যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির নামানুসারে এই সংগ্রহশালার নামকরণ করা হয় আচার্য্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন।

এই সংগ্রহশালার প্রধান লক্ষ্য ছিল এই জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা। এই সংগ্রহশালার সদস্যরা গ্রাম থেকে গ্রামে ভ্রমণ করে ভাস্কর্য, মুদ্রা, প্রাচীন পাত্র, পাণ্ডুলিপি, ক্ষুদ্র চিত্রকর্ম, লোকশিল্পের জিনিসপত্রের মতো শিল্প ও প্রত্নতত্ত্বের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এখন সংগ্রহের প্রকৃতি আশ্চর্যজনকভাবে বৈচিত্র্যময় এবং পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যালারিতে প্রদর্শিত।

এই সংগ্রহশালাটি একটি দ্বিতল ভবন। মোট ৫ টি গ্যালারি আছে - নিচের তলায় ৩ টি গ্যালারি রয়েছে। আর উপরের তলায় রয়েছে ২ টি গ্যালারি।

প্রত্নতত্ত্ব গ্যালারি:- এই গ্যালারিতে জৈন, শৈব, শাক্ত এবং বৈষ্ণব সংস্কৃতির অন্তর্গত মধ্যযুগীয় পাথরের ভাস্কর্য রয়েছে। এসব সামগ্রীর পাশাপাশি প্রাচীন যুগের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রাও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
নৃবিজ্ঞান গ্যালারি:- এই গ্যালারিতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ধাতব পাত্র, উপজাতীয় বাদ্যযন্ত্র, পুরাপ্রস্তর, মাইক্রোলিথিক এবং নিওলিথিক সরঞ্জাম, চালকোলিথিক, আদি-ঐতিহাসিক এবং মধ্যযুগীয় প্রাচীন জিনিসপত্র এই গ্যালারিতে দৃশ্যমান। মধ্যযুগীয় শিল্পকলা, ডোকরা শিল্প ইত্যাদির সাথে জড়িত প্রচুর সংখ্যক পটচিত্রও এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যালারি: - আমাদের দেশের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা সাহসী ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চিত্তাকর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে, স্বাধীনতার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করে, এই গ্যালারি দর্শকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের তাৎপর্য প্রতিফলিত করতে অনুপ্রাণিত করে।
লোকশিল্প ও হস্তশিল্পের গ্যালারি:- পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পুতুল ও খেলনা, পটচিত্র, ডোকরা শিল্প, পাঁচমুড়ার পোড়ামাটির শিল্প, শঙ্খশিল্প, বালুচরী শাড়ি, কাঠের কারুশিল্প, নারকেল খোলের শিল্প, দশাবতার তাস ইত্যাদি এই গ্যালারিতে রয়েছে।
মিউজিক গ্যালারি:- এখানে বিখ্যাত বিষ্ণুপুর ধ্রুপদ ঘরানার উল্লেখযোগ্য সঙ্গীতজ্ঞদের বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফ রয়েছে। এছাড়াও গোপেশ্বর ব্যানার্জি, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, বিন্দবাসিনী দেবী এবং এই ঘরানার অন্যান্য শিল্পীদের ব্যবহৃত কিছু বাদ্যযন্ত্র যেমন সেতার, সুরবাহার, পাংখোয়াজ, জলতরঙ্গ, নাস্তরঙ্গ, এসরাজ ইত্যাদি এখানে রয়েছে।

Bishnupur Acharya Jogesh Chandra Purakriti BhabanBishnupur Acharya Jogesh Chandra Purakriti Bhaban

দুপুর ১২টায় মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে তারপর গিয়েছিলাম লালবাঁধ। মিউজিয়ামের সামনের রাস্তা দিয়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই লালবাঁধ। প্রথমেই এই ঐতিহাসিক লালবাঁধের ইতিহাসটা একটু বলে দিই।

জলের অভাবের স্থায়ী সমাধান এবং নিরাপত্তার জন্য ১৬৫৮ সালে বীর সিং বিষ্ণুপুরে পোকাবাঁধ, শ্যামবাঁধ, কালিন্দিবাঁধ, যমুনাবাঁধ, গানাতবাঁধ, কৃষ্ণবাঁধ এবং লালবাঁধ নামে সাতটি জলাশয় খনন করিয়েছিলেন। এই লালবাঁধ হল সেই সাতটি জলাশয়ের মধ্যে একটি।

১৮৮১ সালে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক হয়ে আসেন উপেন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তখন এই লালবাঁধ পুনরায় সংস্কার করা হয়৷ তখন কিছুটা খনন করার পরই দেখা যায় নিচে রয়েছে একটা পরিত্যক্ত লোহার খনির বুজে যাওয়া অংশ। দু-তিন হাজার বছর আগে লালবাঁধ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছিল এই লোহার খনি৷ হয়তো সেই কারণেই এই জলাশয়ের নাম হয় লালবাঁধ।

তবে লালবাঁধকে ঘিরে অন্য একটি কাহিনিরও প্রচলন রয়েছে। এই লালবাঁধের নাম হয় লালবাঈ-এর নাম অনুসারে। কথিত আছে তিনি এখানে আত্মহত্যা করেছিলেন। রাজা রঘুনাথ সিংহ ওই লালবাঈ নামের পারস্য নৃত্যশিল্পীর প্রতি মোহিত ছিলেন বলেও জানা যায়। কিংবদন্তি অনুসারে, লালবাঈ রাজার সেনাবাহিনী এবং প্রজাদের হাতে নিহত হন, যারা তাকে এবং তার সন্তানকে পাথর বোঝাই নৌকায় করে এই জলাশয়ে ডুবিয়ে হত্যা করে। যদিও এই তথ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আমি সেদিন এই লালবাঁধের পারে প্রায় একঘন্টা বসেছিলাম। সত্যিই সে যেন এক মোহময় মুহূর্ত ছিল। লালবাঁধের চারপাশ খুব সুন্দর গাছপালায় ঘেরা শান্ত অথচ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। অনেককেই দেখলাম লালবাঁধের পাড়ে বসে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে। অনেক তরুণ তরুণীকে দেখলাম লালবাঁধের পারে প্রিয়জনের সাথে নির্জনে সময় অতিবাহিত করতে।

দেখলাম এই মায়াবী লালবাঁধ বাঁকুড়াবাসীর বিনোদনের এক অপরূপ ক্ষেত্র। মনখারাপ ভাল করতে এবং ফুরফুরে প্রাণবায়ুর স্পর্শ পেতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। তাই জেলার ইতিহাসে খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন স্থান এই লালবাঁধ। এই লালবাঁধের পাড়ে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে বীরভদ্র, অভিরাম গোস্বামী আরও কত মানুষ যে এসেছিলেন তার ইয়ত্তা নেই।

দুপুর ১টায় লালবাঁধ থেকে বেরিয়ে সেই জয়পুর হয়ে আবারও পৌঁছে গেলাম বনলতা রিসর্ট রেস্টুরেন্ট যেখানে সেদিন সকালে breakfast করেছিলাম।

সেদিন lunch-এ নিয়েছিলাম ভেজ থালি(যেখানে ছিল ভাত, ডাল, শাকভাজা, উচ্ছে ভাজা, ঢেঁড়স ভাজা, আলুপোস্ত, শুক্তো, চাটনি, পায়েস) এবং কোয়েল কষা। খাবার তো দুর্দান্ত ছিল। খাওয়াদাওয়া শেষ করে রিসর্টের ভিতর একটু ঘোরাঘুরি করে বাড়ির উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। জয়পুর থেকে বেঙ্গাই-সেহারাবাজার হয়ে সেদিন বিকাল ৪:৩০-এ বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম।

এই ছিল আমার ১৭-ই অক্টোবরের ভ্রমণ কাহিনী। আজ গল্প এই পর্যন্তই। যারা আমার website-এ প্রথমবার গল্প পড়ছো, আমার এই গল্প টি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমার বাকি গল্প গুলো পড়তে ভুলো না। আমার গল্প ভালো লেগে থাকলে নীচে দেওয়া Share link থেকে বন্ধুদের share করো। খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি আবার এক travel story নিয়ে। Keep visiting my website...

Share the Story

If you like my story share this post with your friends...

in My Trips

# Abandoned airfield Abandoned british airfield Aerodrome Archeology museum B-29 Superfortress Banalata resort Bankura Bishnupur Bishnupur Acharya Jogesh Chandra Purakriti Bhaban Bishnupur Aerodrome Bishnupur Museum Bishnupur Purakriti Bhaban Bishnupur Purakriti Bhawan Bishnupur district museum Bishnupur lalbandh Bishnupur tour Breakfast at Banalata resort History of Bishnupur History of lalbandh Joypur Joypur forest Joypur jungle tour Lalbandh Lunch at Banalata resort Piardoba Airfield Second world war Second world war airfield World war II

Classic Sarathi 23 October 2025

About Me

Professionally I am a school teacher, but travelling is my passion. Frequently I go out alone with my scooter and explore beautiful places.

This blog website is made with stories about my travelling.

Read the stories, watch the photos, feel the places and motivate yourself.

My blogs

⚠️ Say No to Piracy

Any reproduction or illegal distribution of my digital contents in any form will result in immediate action against the person concerned. Don’t use any of my contents without my own permission.

If you want to use my contents feel free to contact me here: - office@classicsarathi.in.

Special tour : প্রাচীন বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো ঘুরে দেখা

I have visited Baidyapur Nandi Bari, Mirhat Boro Pujobari, Dasghara Biswas Bari, Chakdighi Baganbari, Serampore Rajbari, Bardhaman Das Jamidarbari and Surul Rajbari during Durgapuja in this year 2025.

My Latest Stories

Check out my latest travel stories.

See all

Follow us